পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দেশে কার্যরত সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে রোববার এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকই এখন সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। সূচকের উত্থান-পতন হলেও এ খাতের কোনো নড়চড় হচ্ছে না।
তালিকাভুক্ত সব ব্যাংকের অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। কিছুদিন পরই ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগাকরীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। এমন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ দেয়ার ক্ষেত্রে সীমা বেঁধে দিল।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য খরচ বাদে যেসব ব্যাংক ১৫ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে পারবে সেসব ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
অবশ্য কোনো ক্ষেত্রেই ডেফারেল সুবিধা নেয়া যাবে না। আর যেসব ব্যাংক কমপক্ষে সাড়ে ১৩ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে সেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
যেসব ব্যাংক অন্যান্য খরচ মেটানোর পর সাড়ে ১২ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে সেসব ব্যাংক সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ নগদসহ মোট ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে যেসব ব্যাংকের মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১১ দশমিক ৮৭৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত হয় সেসব ব্যাংক সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে সেসব ব্যাংকের ন্যূনতম মূলধন ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ১০ দশমিক ৬২৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৮৭৫ শতাংশ হয় সেসব ব্যাংক সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে গত মে মাসে এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৯ সালের ব্যাংকগুলোর মুনাফা যথাযসম্ভব অবণ্টিত রেখে মূলধন শক্তিশালী করতে বলা হয়েছিল।
চলমান করোনা সংকটে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের বিষয়টি বিবেচনা করে ২০২০ সালের জন্য শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার এ নীতিমালা জারি করা হয়েছে।